ক্যানবেরায় বাংলাদেশি পতাকার রঙে আলোক সজ্জা
প্রকাশিত : ২০:১৫, ২৭ মার্চ ২০২২
বাংলাদেশি পতাকার রঙে আলোক সজ্জায় অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় উদযাপিত হলো স্বাধীনতা দিবস এবং বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর।
ক্যানবেরায় আসপেন আইল্যান্ডে গুরুত্বপূর্ণ ন্যাশনাল ক্যারিলিয়নে ২৭ মার্চ রাত ৮ টায় এ আলোক সজ্জার প্রদর্শনী শুরু হয়।এসময় অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশি ও হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সম্মিলিতভাবে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। এ আলোক সজ্জা ২৮ মার্চ ভোর ৫টা পর্যন্ত প্রদর্শন করা হবে।
এছাড়া বাংলাদেশের ৫১তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ২৬ মার্চ হাইকমিশন ক্যানবেরায় অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অস্ট্রেলিয়ার সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতা, চিফ অব প্রটোকলসহ পররাষ্ট্র ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতগণ এবং অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সুফিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক উন্নত, ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ।
আগামী দুই দশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব আরো ব্যাপক পরিসরে বাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
হাইকমিশনার উল্লেখ করেন, বর্তমানে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার ২৬তম রপ্তানিকারক দেশ এবং বাৎসরিক প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যসহ ৩২তম বাণিজ্যিক অংশীদার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অবকাঠামো, জ্বালানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাপক বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবলের চাহিদা মেটাতে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেও অস্ট্রেলিয়ার অবদান রাখবে বলে সুফিউর রহমান প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও উন্নত ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় অস্ট্রেলিয়ার সাথে কাজ করে যেতে বাংলাদেশ প্রস্তুত বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এসময় অস্ট্রেলিয়ার রয়েল মিলিটারি ব্যান্ডের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।
এছাড়া বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত বাণীর ওপর নির্মিত ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে কেক কাটা ও সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অয়োজন করা হয়।
অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি এবং উন্নয়নের উপর বিভিন্ন প্রামাণ্য চিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
এর পূর্বে ২৬ মার্চ সকালে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হাইকমিশনার সুফিউর রহমান জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
এসময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এছাড়া যারা মুক্তিসংগ্রামে অবদান রেখেছেন ও মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের জন্য এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
এসি
আরও পড়ুন